জুয়াড়িদের তথ্য গোপন করায় সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই অধিনায়ক। শুক্রবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
ক্রিকেট থেকে যে ব্রেন্ডন টেইলর নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন সেটি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল। তবে অপেক্ষা ছিল শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। অবশেষে পাওয়া গেল সেটিও।
জুয়াড়িদের তথ্য গোপন করায় সাড়ে তিন বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই অধিনায়ক। শুক্রবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
তথ্য গোপনের পাশাপাশি এন্টি ডোপিং ধারাতেও শাস্তি পেয়েছেন তিনি।
আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দুর্নীতি বিরোধী বিধিমালার চারটি ধারা ভাঙার অভিযোগ মেনে নিয়েছেন টেইলর। সঙ্গে আলাদাভাবে একটি অ্যান্টি-ডোপিং ধারাও ভেঙেছেন তিনি।’
আইসিসির প্যানেল কোডের ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৪, ২.৪.৭ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় টেইলরের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে কোকেন সেবন করায় অভিযুক্ত করা হয় এন্টি ডোপিং ধারা ভঙ্গেরও।
সম্প্রতি জুয়াড়িদের তথ্য গোপনের কথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন টেইলর। এক টুইট বার্তায় টেইলর দাবি করেছিলেন মানসিক চাপের কারণে জুয়াড়িদের কথা চেপে গিয়েছিলেন তিনি।
একই সঙ্গে দাবি করেন জুয়াড়িদের প্ররোচণাতেই কোকেন সেবন করেছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। যাতে তিনি পরে ব্যাপকমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন।
জুয়াড়িদের প্রস্তাব পেয়ে ম্যাচ না পাতালেও তথ্য গোপনের জন্য আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ী দোষী ছিলেন টেইলর।
তবে দেরি করে হলেও বিষয়টি আইসিসিকে জানানোয় জিম্বাবুয়ের এ ক্রিকেটার আশা করেছিলেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা তার বিষয়ে নমনীয় হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। সাড়ে তিন বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে যেতে হচ্ছে তাকে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।